ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

কালো টাকা সাদা করার বিধান বন্ধের সিদ্ধান্ত

আপলোড সময় : ২৯-০৮-২০২৪ ০৩:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৯-০৮-২০২৪ ০৩:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন
কালো টাকা সাদা করার বিধান বন্ধের সিদ্ধান্ত
কালো টাকা সাদা করার বিধান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে এই তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়েরও উপদেষ্টা।

কালো টাকা কবে থেকে বন্ধ করা হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘একটা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এটা একটা আদেশের মাধ্যমে আগে যেমন বলে দেওয়া হতো কালো টাকা সাদা করা যাচ্ছে। এখন আর তেমন বলা হবে না, উল্টো বলা হতে পারে।’

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার আইনটি বৈষম্যমূলক ছিল, এটি বাতিল করা হয়েছে। 

হজের টাকা কমানোর কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘হজের খরচ যৌক্তিকভাবে কমানোর কাজ শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে কমানো সম্ভব। সেটা কমানোর কাজ শুরু হয়েছে।’

বৈঠকে অত্যাবশ্যক পণ্যের দাম মানুষের ক্রয়সীমায় রাখতে কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান রিজওয়ানা হাসান। বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার একমাসে এই অন্তর্বর্তী সরকার কী কী করেছে তার নোট সাংবাদিকদের দেওয়া হবে। 

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের আলাপ চলবে জানিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে মতামত চাওয়া হবে।

উল্লেখ্য, জুলাই মাসে অনুমোদিত ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেটে সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বৈধ করার নিয়ম রাখে। তৎকালীন সরকারের এ সিদ্ধান্ত তখন তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিল। কারণ বৈধ করদাতাদেরকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত আয়করের পাশাপাশি অতিরিক্ত সারচার্জ দিতে হয়। সমালোচকেরা বলেছিলেন, ১৫ শতাংশ করের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার অনুমতি আর্থিক খাতের অনিয়মকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিও (এফবিসিসিআই) কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছিল।

২০২০–২১ অর্থবছরের জন্যও তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বৈধকরণের সুযোগ দিয়েছিল। এনবিআরসূত্রে জানা গেছে, ২০২০–২১ অর্থবছরে মোট ১১ হাজার ৮৩৯ জন প্রায় ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বৈধ করেছিলেন, যা এক বছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এনবিআর ওইসব বিনিয়োগ থেকে দুই হাজার ৬৪ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছিল।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ